Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে কার্যক্রম

 

এক নজরে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, সুনামগঞ্জ কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন কার্যক্রমের বিবরণ


০১। ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কার্যক্রম: খাদ্য নিরাপত্তার নিমিত্ত ভিডব্লিউবি কর্মসূচির আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতি ২বছর অন্তর অন্তর অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলার সকল উপজেলায় সর্বমোট ২৩৬১৫ জন উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। নির্বাচিত উপকারভোগীদেরকে বিভিন্ন আয়বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ ও প্রতি মাসে ৩০কেজি বস্তা চাল বিতরণ করা হয়। প্রতি চক্রের মেয়াদ ০২ বছর। প্রশিক্ষণ পরিচালনার জন্য প্রধান কার্যালয় হতে এনজিও নির্বাচন করা হয়। বর্তমানে এনজিও প্রতিটি ইউনিয়নে দল গঠন পূর্বক প্রশিক্ষণ প্রদান ও সঞ্চয় জমা করার জন্য উদবুদ্ধ করণ ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রতি উপকারভোগী মাসিক ২২০ টাকা নিজস্ব ব্যাংক, এজেন্ট ব্যাংক হিসাবে সঞ্চয় জমা স্বাপেক্ষে চাল বিতরণ করা হচ্ছে।


০২। আইসিভিডব্লিউবি প্রকল্প: তাহিরপুর উপজেলায় খাদ্য নিরাপত্তার নিমিত্ত আইসিভিডব্লিউবি প্রকল্পের আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ভিডব্লিউবি উপকারভোগীদেরকে বিভিন্ন আয়বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ ও প্রতি মাসে ৩০.৩ কেজি চাল বিতরণ এবং প্রতি চক্রের মেয়াদ ০২ বছর। প্রশিক্ষণ পরিচালনার জন্য প্রধান কার্যালয় হতে এনজিও নির্বাচন করা হয়। বর্তমানে এনজিও প্রতিটি ইউনিয়নে দল গঠন পূর্বক প্রশিক্ষণ প্রদান ও সঞ্চয় জমা করার জন্য উদবুদ্ধ করণ ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আইসিভিডব্লিউবি মূল কার্যক্রম সমূহ:

ক) ভিডব্লিউবি চক্রের প্রতিমাসে একজন উপকারভোগী সাধারণ চালের পরিবর্তে ৩০.৩ কেজি পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ চাল পাবেন।

খ) উপকারভোগীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সক্ষমতা উন্নয়ন ও ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে নিবিড় সহায়তা।

গ) একটি আয় বর্ধনমূলক কাজে বিনিয়োগের জন্য প্রত্যেক উপকারভোগীকে ১৫,০০০/- (পনের হাজার) টাকা নগদ সহায়তা প্রদান।

ঘ) উপকারভোগীদের পুষ্টি গ্রহণ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সামাজিক আচরণ পরিবর্তন ও যোগাযোগ এর মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করা।


০৩। মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি: সুনামগঞ্জ জেলাধীন ১১টি উপজেলার আওতায় ৮৮টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভা এলাকায় মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আওতায় মাসে মাসে নির্বাচন করে ভাতাভোগীর তথ্যবলীর MIS Software এ Data Entry করে EFT করে প্রতি মাসে ভাতাভোগীর নিজস্ব ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংক, এজেন্ট ব্যাংক হিসেবে EFT আকারে সরাসরি সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংক হতে BEFTN পদ্ধতিতে Digital Payment করা হচ্ছে। এ কর্মসূচীতে ভাতাভোগী মাসিক ৮০০/-টাকা হারে পুষ্টি পুরণের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা করা হচ্ছে।


০৪। জীবিকায়ন কর্মসূচি (বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ): জনবহুল এই দেশের প্রায় অর্ধেক জন সংখ্যা মহিলা। তাদেরকে অর্থনৈতিক মূল স্রোতধারায় অংশগ্রহণ করার নিমিত্ত দক্ষ মানব শক্তিতে রূপান্তরের লক্ষে বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে জেলা কার্যালয়ের অধীনে ০৫টি ট্রেডে প্রতি ট্রেডে ২০জন করে ১০০জন প্রশিক্ষণার্থীকে ০৩ মাস মেয়াদে কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন, মোবাইল ফোন সার্ভিসিং, ড্রেস মেকিং অ্যান্ড টেইলারিং, সো-পিস এন্ড হ্যান্ডিক্রাফট মেকিং ও ব্লক বাটিক অ্যান্ড ট্রেডে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলিতেছে। প্রত্যেক প্রশিক্ষনাথী দৈনিক ১০০/-টাকা হারে উপস্থিতির ভিত্তিতে ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে। আগামী ব্যাচে ভর্তি কার্যক্রম চলমান।


০৫। আইজিএ প্রশিক্ষণ প্রকল্প: সুনামগঞ্জ জেলার সকল উপজেলায় “উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের জন্য আয়বর্ধক (আইজিএ) প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০জন প্রশিক্ষনার্থীদের ০৩ মাস অন্তর অন্তর ফ্যাশন ডিজাইন, মাশরুম ভার্মিং কম্পোষ্ট হস্ত শিল্প ও বিউটিফিকেশন বিষয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলিতেছে। বর্তমানে জেলা পর্যায়ে বিউটিফিকেশন এবং সেলস ও ডিসপ্লে সেন্টার স্থাপন কার্যক্রম চলমান। যেখানে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের বিভিন্ন উপজেলায় পরিচালিত বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী ৪-৬ জন উদ্যোক্তার মাধ্যমে সেন্টারটি পরিচালিত হবে। সেন্টারটিতে বিভিন্ন উপজেলার মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, জাতীয় মহিলা সংস্থা, জয়িতা, নিবন্ধিত মহিলা সমিতি সমূহের উৎপাদিত পন্য প্রদর্শণ ও বীপনন করা হবে। 


০৬। মহিলাদের আত্ম কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম: জেলা সহ সকল উপজেলায় মোট ১৪৭৮ জন অসহায়, গরীব মহিলাদের মধ্যে =১,২১,২০,০০০/-(এক কোটি একুশ লক্ষ বিশ হাজার) টাকা ক্ষুদ্রঋণ বিতরন করা হয়েছে এবং ঋণ আদায় মোটামুটি। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে ঋণ আদায়ের জন্য কোন ক্রেডিট সুপারভাইজার/ঋণ আদায়কারী নাই। বিতরণকৃত ঋণ আদায় সন্তোষজনক ও পরিমান মত হলে সুবিধামত সময়ে বিতরণ করা হবে।


০৭। কিশোর কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্প: জেলার ৯২টি ইউনিয়নের ৯২টি ক্লাব স্থাপন করা হয়েছে। মূলত ক্লাবগুলোর মাধ্যমে কিশোর কিশোরী ক্লাবের মূল উদ্দেশ্য তথা সমাজের বিভিন্ন স্থরের প্রান্তিক কিশোর কিশোরীদের বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ ও জেন্ডার বেইজড ভায়লেন্স প্রতিরোধে সক্ষম করা এবং Sexual and Reproductive Health and Rights বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের অবস্থানকে দৃঢ় করা। বিভিন্ন সৃজনশীল ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে কিশোর কিশোরীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুকূল ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরী করার মাধ্যমে মনো-সামাজিক আচরণ পারস্পারিক সম্পর্ক তৈরী করার ভিতর দিয়ে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়ন করা। ক্লাব গুলো প্রতি সপ্তাহে ০২ দিন ১০ কিশোর এবং ২০ জন কিশোরীকে সংগীত ও আবৃত্তি প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা হচ্ছে। জেলা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও সকল কর্মচারী এবং প্রকল্পের ২জন ফিল্ড সুপারভাইজার নিয়মিত ক্লাবগুলো স্বাস্থ্য বিধি অনুস্বরণ করে সরাসরি ও ই-মনিটরিং করছেন।


০৮। ইপিসি প্রকল্প: মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় সুনামগঞ্জ জেলায় শান্তিগঞ্জ ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ৬১টি ক্লাব স্থাপনের মাধ্যমে নারী ও শিশুদের সচেতনতা মূলক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়। উক্ত প্রশিক্ষণ সমূহে বাল্য বিবাহ, শিশু শ্রম বন্ধ, নারী নির্যাতন, যৌতুক, ইভটিজিং অন্যান্য নেতিবাচক প্রথার প্রভাব সর্ম্পকে স্থানীয় জনগোষ্টির মাঝে সচেতনা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়। নারী শিক্ষা, নারী উন্নয়ন ও নারী উদ্যোক্তা তৈরীতে ক্লাবের মাধ্যমে সংগঠিত করা হয়। ১০-১৯ বছর বয়সী কিশোরীদের ১২০০০/- টাকা ০৩ কিস্তিতে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়।


০৯। ওসিসি: মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রামের আওতায় সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল ও ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেল স্থাপনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের আইনগত সহায়তা মনোসামাজিক কাউন্সিলিং, জীবন নির্বহী প্রশিক্ষণ, সমাজে পুনর্বাসন ও পুনঃএকত্রিকরণ, আশ্রয়সেবা প্রদান করা হয়।


১০। বিভিন্ন দিবস উদযাপন: আন্তর্জাতিক নারী দিবস, বেগম রোকেয়া দিবস, কন্যা শিশু দিবস, মা দিবস, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শাহাদাৎ বার্ষিকী, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর জন্ম দিবস সহ সকল রাষ্ট্রিয় নির্দেশাবলী যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করা হয়। এছাড়া সরকার কর্তৃক নির্দেশিত অন্যান্য দিবসও যথাযথ মর্যাদায় পৃথকভাবে এবং জেলা প্রশাসনের সাথে যৌথ অংশগ্রহণের পালন করা হয়।


১১। জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ: প্রতিবছর আর্ন্তজাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ (২৫ নভেম্বর হতে ১০ ডিসেম্বর) এবং বেগম রোকেয়া দিবস (৯ ডিসেম্বর) উৎযাপন “জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ”শীর্ষক কার্যক্রমের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলাধীন প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তৃণমূলের সফল নারী তথা জয়িতাদের অনুপ্রানিত করার লক্ষ্যে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের নারীদের চিহ্নিত করে তাদের যথাযথ সম্মান, স্বীকৃতি ও অনুপ্রেরণা প্রদান করে সমাজের আপামর নারীদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করা এবং তাঁদের জয়িতা হতে অনুপ্রাণীত করা হয়।


১২। নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কার্যক্রম: সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা সমূহে নির্যাতিতা ও অসহায় নারীদের অভিযোগ গ্রহণ করে বাদী ও বিবাদী পক্ষের মধ্যে সালিশ/কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে পারিবারিক কলহ মিমাংসা করা। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার নারীদের ভরণ পোষণ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। নির্যাতিতা ও তালাক প্রাপ্ত নারীদের দেনমোহর আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। নাবালক সন্তানের খোরপোষ আদায়ের ব্যবস্থা করা। যৌতুক প্রথাকে নিরুৎসাহিত করা এবং কোর্ট, থানা, ওসিসি ও পত্রিকায় প্রকাশিত নারী নির্যাতন সংক্রান্ত ঘটনার তথ্য সংরক্ষণ এবং ফলো-আপ করা হয়। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, সুনামগঞ্জ কর্তৃক পরিচালিত সকল কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ ইত্যাদিতে বাল্য বিবাহ নিরোধের পক্ষে কাজ করা।

 

উপ পরিচালকের কার্যালয় সুনামগঞ্জ-এ পরিচালিত মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ০৫ (পাঁচ) টি ট্রেড যথাক্রমে:-


০১। কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন

০২। মোবাইল ফোন সার্ভিসিং

০৩। ড্রেস মেকিং অ্যান্ড টেইলারিং

০৪। ব্লক বাটিক অ্যান্ড প্রিন্টিং

০৫। সো-পিস এন্ড হ্যান্ডিক্রাফট মেকিং